খাদ্য ও পানীয়—মানুষের প্রতি আল্লাহ তাআলার অনেক বড়ো একটি নিয়ামাত। এর মাধ্যমেই আল্লাহ টিকিয়ে রেখেছেন মানুষের অস্তিত্ব। তাই তিনি অবারিত করে দিয়েছেন রিয্কের অসংখ্য পথ। জমিনকে বানিয়েছেন উর্বর। আর আসমান থেকে ব্যবস্থা করেছেন বৃষ্টির ফোয়ারা। তবে কেবল খাওয়া আর পান করার জন্যই মানুষকে সৃষ্টি করা হয়নি। জীবন বাঁচানোর জন্য এটি একটি প্রয়োজন মাত্র। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ মানুষের সমগ্র সময় কেটে যায় খাওয়া, পান করা আর ভোগবিলাসিতায় মত্ত হয়ে। অর্থসম্পদ উপার্জন করাই যেন তাদের জীবনের প্রধানতম ব্যস্ততা। অধিক আহার ও অতিরিক্ত আরাম-আয়েশের ফলে বেশির ভাগ মানুষ আজ মন্দপ্রবৃত্তির কাছে পরাজিত হয়েছে। যার দরুন তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আল্লাহর ইবাদাত-আনুগত্য থেকে। এই অবস্থা থেকে বের হতে হলে—অল্প খাবারে অভ্যস্ত হওয়া জরুরি।
এই বিষয়টি সামনে রেখেই পরিমিত খাদ্যগ্রহণ বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে অল্প খাওয়ার উপকারিতা এবং অধিক আহারের ক্ষতি ও নিন্দা সম্পর্কে। এতে পরিমিত ও ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যগ্রহণের প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। বর্ণনা করা হয়েছে কুরআন-হাদীস এবং সালাফদের বিভিন্ন উক্তি ও ঘটনা। নবি ও তাঁর পরিবারের অবস্থা কেমন ছিল, তাও স্থান পেয়েছে বইটিতে। প্রিয় পাঠক! আমরা আশাবাদী—পানাহার সম্পর্কে বইটি আরও অধিক সচেতন করে তুলবে আপনাকে।
Add your review
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Please login to write review!
Looks like there are no reviews yet.