রমাদানুল মোবারক—আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে মুসলিমদের জন্য অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার। যে মাসের আগমণ উপলক্ষ্যে ইমানদারগণের প্রস্তুতি শুরু হয় দু'মাস পূর্ব হতেই। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজব মাস হতেই রমাদান পর্যন্ত হায়াত কামনা করে দুআ করতেন।
এ- মাসে আল্লাহ তায়ালা অবতীর্ণ করেন মানবজাতীর জন্য একমাত্র হেদায়াতের পথনির্দেশিকা, মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। এ- মাসে রাখা হয়েছে এমন এক রজনী, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। শুধু তাই নয়, এ- মাসে খুলে দেওয়া হয়, অফুরন্ত নেয়ামতে পরিপূর্ণ আবাসস্থল—জান্নাতের দরজাসমূহ। বন্ধ করে দেওয়া হয়, ভয়ানক শাস্তির আবাসস্থল—জাহান্নামের দরজাসমূহ। এমনকি, শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয় বিতারিত শয়তানকে। আর এই মাসেই বৃদ্ধি করা হয় ফরজ ও নফল ইবাদতের প্রতিদান।
এ- মাসে বান্দা অর্জন করবে আত্মশুদ্ধি ও তাক্বওয়া । লাভ করবে পরিশুদ্ধ হৃদয় 'কলবে সালীম'। আল্লাহর প্রিয় বান্দারা হবে তাঁর আরো নিকটবর্তী। অগণিত পাপী বান্দারা পাপ ছেড়ে ফিরে আসবে রবের পথে। তিনি তো এমন রব, যিনি গুনাহগার বান্দার প্রত্যাবর্তনে খুশি হোন মরুপথে একমাত্র সম্বল হারিয়ে যাওয়া উট ফিরে পাওয়া নিরূপায় মালিকের চেয়ে সহস্রগুণ বেশি।
মনে রাখবেন, সিয়াম সাধনার মূল উদ্দেশ্যই 'তাক্বওয়া' অর্জন।
সুতরাং, তাক্বওয়া কী? তাক্বওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত কেমন? কীভাবে তাক্বওয়া অর্জন করা যায়? এছাড়া, রমজানের প্রতিটি দিন, ঘন্টা, মিনিট, সেকেন্ড ও ভগ্নাংশকে যথাযথভাবে কীভাবে কাজে লাগানো যায়—সেই দিকনির্দেশনা নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন, "রমাদান তাক্বওয়ার পাঠশালা"।
Add your review
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Please login to write review!
Looks like there are no reviews yet.